নারায়ণগঞ্জের বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানউদ্দিনকে ২৫ ফেব্রুয়ারী বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারির পর তিনি এক ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন। বুধবার ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে নিজের ফেসবুকে তিনি স্ট্যাটাস দেন।
স্ট্যাটাসে তিনি জানান, হাজারো প্রমান হাতে থাকার পরেও আজকে পর্যন্ত সত্য প্রতিষ্ঠায় মনে হয় ব্যর্থ হয়ে গেলাম। আমি হাল ছেড়ে দেওয়ার মত মানুষ না, আমি অন্যায়ের সাথে আপোষ করার মানুষ না, আমি দুর্নীতির সাথে আপোষ করার মত মানুষ না।
তিনি লিখেন, আমি মিথ্যা কথা বলে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার মানুষ না, আমি কারো হক নষ্ট করে অর্থ উপার্জন করার মত মানুষ না, আমি জীবনে কাউকে এক টাকা ঠকিয়েছি এমন কোন প্রমাণ কেউ দিতে পারবেন না ইনশাআল্লাহ।
আস্থা আর বিশ্বাস ছাড়া পৃথিবীতে কোন প্রতিষ্ঠানই চলতে পারে না। পিতার উপর পুত্রের আর পুত্রের উপর পিতার এবং স্বামীর উপর স্ত্রীর আর স্ত্রীর উপর তার স্বামীর যদি আস্থা-বিশ্বাস না থাকতো তাহলে পৃথিবীতে থেকে সংসার নামক শব্দটি এতদিনে মুছে যেত। একজন কাজের ছেলের হাতে আমার বাচ্চাকে রেখে যাওয়ার পর সে যদি আমার সেই বাচ্চাকে গলা টিপে হত্যা করে তার দায় আমি বাবা নিতে পারিনা।
৩৩ লক্ষ টাকা আমার পারিবারিক ঐতিহ্য আর সম্মানের প্রেক্ষাপটে খুবই সামান্য, আমার কথা না হয় বাদই দিলাম। বাবার কাছ থেকে পত্রিক সূত্রে পাওয়া সামান্য জমি বিক্রি করে দিলেই ব্যবস্থা হয়ে যেত। এতে করে প্রকৃত অপরাধী, দুর্নীতিবাজ, প্রতারক, বিশ্বাসঘাতক সচিব পার পেয়ে যেত।
পিবিআই এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে এই বিষয়ের উপর তদন্ত চলছে। আমি আমার ইউনিয়নবাসিকে অল্প কিছুদিন ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করার অনুরোধ জানাচ্ছি এবং দোয়া প্রার্থনা করছি যাতে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাকে সকল প্রকার অন্যায়, দুর্নীতি, বিশ্বাসঘাতকতা আর প্রতারণার বিরুদ্ধে সত্য ও অন্যায় প্রতিষ্ঠায় সহায় হোন।
উল্লেখ্য, জন্ম নিবন্ধন ও ট্রেড লাইসেন্স বাবদ ৩৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহমেদকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।